কেউ কেউ বলেছে ক্ষেত্র বিশেষে তাদের মতামত নেওয়া হলেও নীতি নির্ধারণে তা গুরুত্ব পায় না।
আমাদর দেশে শ্রেণিকক্ষে শিশুদের কার্যকর পাঠদান পদ্ধতি নিয়ে হচ্ছে নানান গবেষণা, পরীক্ষা- নিরীক্ষা। প্রশিক্ষণও হচ্ছে বিস্তর। যাদের জন্য এত কিছু সম্প্রতি এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলে হ্যালো। জানা যায় তাদের মতামতের কথা।
রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাজদ্বীপ মনে করে ছাত্ররা মনে কষ্ট পায় এমন কোনো কথা শিক্ষকদের উচ্চারণ করা ঠিক নয়।
সে বলে “ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন বিভিন্ন গ্রেড পায় পড়াশোনার ভিত্তিতে। শিক্ষকদেরও তেমন গ্রেডিং দরকার পড়ানোর ভিত্তিতে।”
শ্রেণিকক্ষে হাতে কলমে শেখানো জরুরি বলে মনে করে রাজধানীর একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ।
সে বলে, “ল্যাপটপে কীভাবে উইন্ডোজ ইন্সটল করতে হয় বা ওয়াশ রুমের স্পাউট নষ্ট হলে কীভাবে তা রিপ্লেস করতে হয় তা স্কুল থেকেই শিখতে পারলেই ভালো হতো।”
স্কুলের পরিবেশ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নেত্রকোণা জেলার সুসং দুর্গাপুরের একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়ন্তি বলে, “স্কুলের ওয়াস রুম এত নোংরা থাকে যে ওয়াশ রুমে যেতে হবে এই ভয়েই স্কুলে যেতে মন চায় না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা তো স্কুল থেকেই শেখানো উচিত।”
স্কুলের পাঠক্রম নিয়েও আছে তার অভিযোগ। অনেক সময় পুরো পাঠক্রম শেষ করার জন্য শিক্ষকরা খুব দ্রুত অধ্যায়ের পর অধ্যায় শেষ করেন। এতে অনেক কিছুই অজানা থেকে যায় বলে জানায় এই শিক্ষার্থী।
একই গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সুষ্মিতা। সে শুধু পড়াশোনা নয়, স্কুল থেকেই শিখতে চায় সেলাই ও অন্যান্য হাতের কাজ।
ময়মনসিংহের একটি স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে দিয়া নামের আরেক শিক্ষার্থী।
ও বলে, “পড়াশোনা সিলেবাস নির্ভর না হয়ে বই নির্ভর হওয়া উচিত। ইউটিউবের অনেক সময় শিক্ষা নিয়ে নানা টিউটোরিয়াল দেখি, কী সহজেই বুঝিয়ে দেন প্রশিক্ষক। আমাদের স্কুলেও যদি এভাবে পড়া বোঝানো হতো তাহলে ভালো হতো।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানায় তার স্কুলের গানের পরীক্ষা হয়েছে অনলাইনে। রেকর্ড করে পাঠাতে হয়েছে সবকিছু। নির্দিষ্ট তারিখের আগের দিন সে সব পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু পরে জমা দানের সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তটা আগে জানালে সে আরো প্রস্তুতি নিয়ে আরো ভালো করে করতে পারত। তাই সে স্কুলের কাছে আরো দায়িত্বপূর্ণ আচরণ আশা করে।
বিশেষজ্ঞদের সাথে সাথে শিশুদের শিক্ষা ও স্কুল বিষয়ে শিশুদের মতামত বিবেচনায় নিলে তা ভালো ফল বয়ে আনতে পারে বলে মনে করেন অনেক অভিভাবকও।