ঘরবন্দি থাকার পাশাপাশি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ট্যাবের মতো বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির পর্দায় দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকায় নানা শারিরীক জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
বিনোদনের জন্য নয় শুধু ক্লাস করার জন্যই শিশুদের স্ক্রিনের সামনে বসতে হচ্ছে কয়েক ঘণ্টা। বাইরে খেলাধুলার পরিবেশ কমে যাওয়ায় কায়িকশ্রমও কমে গেছে, ফলে জীবন হয়ে উঠেছে এই প্রযুক্তি কেন্দ্রিক।
সাফিয়া তাসনীম নামে অষ্টম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
সে বলে, "আমরা সকাল এগারোটা থেকে ক্লাস করি এবং প্রতি ক্লাসের পর ২০ মিনিট বিরতি দেয়া হয়। কিন্তু আমি যেহেতু দীর্ঘসময় ল্যাপটপে ক্লাস করতে অভ্যস্ত নই, তাই মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে।"
সাদিয়া সুলতানা নামে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া আরেক শিক্ষার্থী হ্যালোকে বলে, "কলেজের ক্লাসের কয়েক ঘণ্টা সময় ছাড়াও পড়াশোনার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে এখন প্রায়ই মাথাব্যথা হচ্ছে।"
এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরাও একই মত প্রকাশ করছেন। হ্যালোর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফারজানা শিল্পী।
তিনি বলেন, "দীর্ঘসময় ডিভাইসের সাথে সময় কাটালে আমাদের এই সমস্যাগুলো হয়েই থাকে। আর এই সময় যেহেতু অনেকটা বাধ্য হয়েই শিশুরা ডিভাইসের সামনে বসছে তাই এই সমস্যায় ভোগা শিশুদের সংখ্যাটাও অনেক বেড়ে গেছে । এজন্য যতটা সম্ভব ডিজিটাল ডিভাইস কম ব্যবহার করা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট দূরত্বে বসা উচিত যাতে চোখের ওপর চাপ না পড়ে। বিধিনিষেধ গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে শিশুদের। আর যেহেতু শিশুদের হাতের নাগালেই এখন ডিভাইসগুলো তাই অনেকেই প্রযুক্তিতে আসক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই সচেতন থাকতে হবে অভিভাবক ও শিশু উভয়কেই।"