এ ব্যাপারে কথা হয় সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের কুমার পাড়ার কুমোরদের সঙ্গে।
দুই বেলা দুমুঠো ভাত জোগার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। পরিবার নিয়ে বেশ বিপাকেই আছেন তারা।
বীণা রানী পাল নামের এক কুমোর হ্যালোকে বলেন, “প্লাস্টিকের জিনিসপত্র নাইমা বেচাকিনি কমছে। যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে ছেলেপেলেরেরে পড়াশোনা করাইতে পারি নাই। এখন কোনো বেচাকিনি নাই। ছেলে পেলে নিয়ে কী খাব? খুব অসুবিধা। অসুখ হইলে চিকিৎসা করাইতে পারি না।”
কুমারপাড়া ঘুরে দেখা যায় কেউ তৈরি করছেন ফুলের টব, কেউ কলস, কেউ কড়াই কেউবা তৈরি করছেন মাটির পাতিল, দইয়ের হাঁড়িসহ নানা তৈজসপত্র।
নিত্যানন্দ পাল নামের আরেক শিল্পী বলেন, “আগে পূজা পার্বনে মূর্তি বানায় টাকা আসত। করোনায় এখন তাও বন্ধ হয়েছে গেছে। সংসার চলে না এখন।”
শ্রী রতন কুমার পাল নামের আরেক কুমোর বলেন, “আগে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসত কিনতে, এখন আসে না। বেচাকিনি কমে গেছে।”
শ্রীমতী মীনা রানী পাল নামের আরেকজন বলেন, “ জিনিস বানায় রাখছি কিন্তু বিক্রি করতে পারতেছি না। খুব লস আমাদের।”