Published: 2021-04-07 18:43:31.0 BdST Updated: 2021-04-07 18:43:31.0 BdST
এ বিষয়ে হ্যালোর সঙ্গে একজন চিকিৎসকের কথা হয়। বাগেরহাটের বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কনসালট্যান্ট ডা. মো. মুশফিখার সামস বলেন, “আমাদের দেশে অনেকেই শিশু অসুস্থ হলে প্রথমে ফার্মেসির চিকিৎসা নিয়ে যদি সুস্থ না হয়, সেক্ষেত্রে তারা ডাক্তারের কাছে আসে। ফার্মেসির অনেক বেশি পাওয়ারের এন্টিবায়োটিক শিশুর শরীরে অনেক ধরনের ক্ষতি করতে পারে।”
তিনি হ্যালোকে আরও বলেন, “এটা শুধুমাত্র দরিদ্র পরিবারে করেন এমন নয়, এটা অনেক শিক্ষিত পরিবারেও হয়ে থাকে।”
দুই সন্তানের জননী সোহেলী আক্তার রাজধানীর একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে কথা হ্যালোর। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল অসুস্থ হলে তিনি কীভাবে শিশুদের চিকিৎসা করান।
সোহেলী বলছিলেন, “জ্বর-ঠাণ্ডা হলে নিজের মতো করেই একটা ওষুধ দিয়ে দেই। দুই-তিন দিনে ভালো না হলে এন্টিবায়োটিক দেই। খুব দ্রুত সেরে যায়।”
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “টুকটাক প্রাথমিক অনেক বিষয়েই তো জানি। সেটাতে কাজ না হলে ফার্মেসি থেকে পরামর্শ নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়াটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার যেহেতু কর্মজীবী আমি। যাই না তা নয়, সন্তানের সুস্থতা সবার আগে। তবে সত্যি বলতে সেটা আমরা অনেক পরে যাই।”
গ্রাম বা মফস্বলের দৃশ্যগুলো একটু অন্যরকম হলেও প্রেক্ষাপট প্রায় একই। গ্রামের মানুষ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভরসা করলেও দ্রুত আরোগ্য হওয়ার জন্য ফার্মেসিতে যান। যেখানে বেশিরভাগ সময়ই বিক্রেতা এন্টিবায়োটিক দিয়ে দেন।
সাহিদা বেগম নামে একজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর। যিনি থাকেন বাগেরহাটে। হ্যালোকে তিনি বলেন, “ডাক্তারের ভিজিট অনেক বেশি। তাই শিশুরা অসুস্থ হলে ফার্মেসির পরামর্শ নিয়েই ওষুধ খাওয়ানো হয়।”
মোহাম্মদ সহোরাব পেশায় একজন রিকশা চালক। তিনি হ্যালোকে জানান, যখন ঠিকঠাক উপার্জন হয় তখন শিশুরা অসুস্থ হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান। এছাড়া ফার্মেসিতেই চিকিৎসা করান দ্রুত সুস্থতার জন্য।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এন্টিবায়োটিক এমন ওষুধ যা ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পরজীবীকে ধংস করে। তবে এটির সঠিক ব্যবহার না হলে বা প্রয়োগ ঠিকভাবে না হলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হতে পারে।
এরকম সময়ে মনোবল শক্ত রাখতে হয়: সুকুমার বড়ুয়া
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী দুর্ভিক্ষের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে অতিমারির এই অস্থির সময়ে শিশুদের মনোবল শক্ত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়া।
সাইবার দুনিয়ায় 'অনিরাপদ' শিশু
বুলিংসহ নানাভাবে সাইবার দুনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-কিশোররা।
বাবা মা বন্ধু হোক
মা-বাবার সাথে সন্তানের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত বলে আমার কাছে মনে হয়। কিন্তু প্রতিটি সন্তানের সাথে মা-বাবার সম্পর্ক কি বন্ধুর মতো?