তাদের মতে, দোল পূর্ণিমার এ দিনে বৃন্দাবনে সখীদের সঙ্গে রংয়ের আবির দিয়ে খেলায় মেতে উঠেন শ্রীকৃষ্ণ।
কোথাও এই দোল পূর্ণিমাকে দোল যাত্রা বলে। আবার ফাল্গুনী পূর্ণিমাকেও দোল পূর্ণিমা বলা হয়ে থাকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যের জন্ম হয়েছিল এই পূর্ণিমার তিথিতে, তাই দোল পূর্ণিমাকে গৌরী পূর্ণিমাও বলা হয়।
দোল পূর্ণিমার মূল আকর্ষণ আবির। এই দিনটি আবিরের রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। এই দিনে রাধা-কৃষ্ণের পূজা করা হয়। বাঙালির দোলযাত্রাটি রাধা কৃষ্ণকে ঘিরেই।
রোববার সকাল থেকে জেলার মায়ের বাড়ি মন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে শিশু কিশোর তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবাই পরস্পরকে আবির মাখিয়ে মেতে উঠেন এ দোল উৎসবে। পাশাপাশি মন্দিরে মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার পূজাও করা হয়।
সাতক্ষীরার শ্রী শ্রী কালিমাতার মন্দিরে পরিবারের সাথে ঘুরতে আসে পুষ্পিতা চক্রবর্তী অর্পা। সে হ্যালোকে বলে, “অনেক আনন্দ লাগছে। হোলি খেললাম। অনেক মজা হলো। যেহেতু আজকে একটি বিশেষ দিন। যেটা প্রতি বছর আমাদের মাঝে আসে।”
মিলন কুমার রুদ্র নামের ওক ব্যক্তি হ্যালোকে বলে, "হোলি আসলে রঙের খেলা। রঙে নিজেকে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। ঈশ্বরের কাছে আশির্বাদ মানুষের মন যেন রঙের মতো রঙিন হয়। স্রষ্টার প্রতিটি সৃষ্টির মঙ্গল কামনায় এই দিনে রঙ খেলা হয়।"
রঙ খেলতে আসা চৈতালী মুখোপাধ্যায় নামের এক নারী বলেন, "সকাল থেকেই উৎসবে মেতে আছি আমরা।”
গগন নামে এক কিশোর হ্যালোকে বলে, “সকাল থেকেই আমরা মায়ের বাড়িতে আছি। খুব মজা করছি।”