এত বছরের জীবন সংগ্রামে আক্ষেপ বলে কিছু নেই ৮৫ বছর বয়সী বাঁশি বাদক উমর আলীর। শহর ঘুরে ঘুরে এই যন্ত্র বাজানো ও বিক্রি করার মাঝেই তাদের ভালো লাগা, ভালোবাসা। নাক দিয়ে বাঁশি বাজানো তার একটি সহজাত প্রতিভা।
বাঁশি শিল্পের কদর কমে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অনেক কইমা যাইতেয়াছে। নাই তো! এই বাউল সংগীত নাই!” পাঁয়ে হেটে সাভার, নবীননগর, গুলিস্তান, শাহবাগ, মিরপুরের এলাকা ঘুরে ঘুরে বাঁশি ও একতারা বিক্রি করে থাকেন উমর আলী ও বারেক সিদ্দীকি। দুজনেই থাকেন একসাথে।
করোনাভাইরাস মহামারি প্রভাব ফেলেছে এই শিল্পের মানুষদের জীবিকাতেও।
বারেক সিদ্দীকি বলেন, “লকডাউনে খুব একটা অভাবে আছি আমরা। কষ্টেই আছি। পেটে ভাত জুটলে ঘর ভাড়া হয় না। ঘর ভাড়া হইলে ভাত জুটে না। অনাহারে ঘুরি।”
আয় কেমন হয় জানতে চাইলে উমর বলেন, “হয়, দুই-চারশ-পাঁচশ (টাকা) হয়। নাইলে সংসার কেমনে চলে? হয় কিছু!”