উপজেলার সিংগারোল, দস্তমপুর, বথপালিগাঁও, বলিদাড়া গ্রামে তাদের বাস।
বাঁশ দিয়ে কুলা, হাত পাখা, ডালি, মাছ রাখার বাসনসহ সাংসারিক কাজের বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে তারা।
গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে সংসারের কাজ শেষে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বাঁশের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী তৈরি করছেন।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর চাহিদা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরা। এসব বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকম সংসার চলে বলে জানালেন কারিগরদের কেউ কেউ।
অনেকদিন ধরেই বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিস বানান চানছড়ি রানী। তিনি হ্যালোকে বলেন, “এই কাজ করে সংসার চলে না। ছেলেমেয়ের লেখাপড়া করাইতে সমস্যা হয়।”
সপ্তাহে একটা হাট করে বলে জানান মীনা রানী নামের আরেক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, “আমরা আদিকাল থেকেই বাঁশের কাজ করি। আমাদের বাঁশমালি বলা হয়। এই করেই চলতেছে আমাদের। প্রতিহাটে ৬০০-৭০০ টাকার মতো বিক্রি হয়।”
সপ্তাহে যে দুই হাট হয় তাতে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে না বলে জানান অমল দাস নামের আরেকজন বাঁশমালি। তিনি হ্যালোকে বলেন, “বাপ-দাদার এই ব্যবসা এখনো করতেছি। সরকার যদি আমাদের একটু সাহায্য করত তাহলে আমরা আরেকটু এগিয়ে যেতে পারতাম।”
বাঁশমালি শিউলি রানী হ্যালোকে বলেন, “আমি চাই না আমার ছেলেমেয়েও এই কাজ করুক। আমি চাই তারা লেখাপড়া করে বড় হোক।”