দৌড়ে দৌড়ে কাজ করাই তার অভ্যাস। নাম ধরে ডাক দিলেই দৌড়ে হাজির হয়ে যায় সে।
সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে তার কাজ করা।
আল আমিন জানে না কে তার বাবা, কে তার মা, কোথায় তার বাড়ি আর কীভাবেই বা সে ঢাকা এলো।
এক সময় রাস্তায়, পার্কে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করত। রাস্তায় ঘুমাত। একদিন ভিক্ষা করা অবস্থায় কলাবাগানের টায়ারের দোকান কর্মী সোহেলের চোখে পড়ে আল-আমীন। সেই থেকে তার সাথে আছে। রোজ তার সাথে দোকানে আসে, ছোটখাট সাহায্য করে। এভাবেই কাজ শিখছে সে।
সোহেল হ্যালোকে বলে, “আগে আল-আমীন ভিক্ষা করত। এখন আমার সাথেই কাজ করে।”
যখন খুব বেশি খুশী হয় তখন হাসিমুখে স্যালুট দেয় সে। বড় হয়ে আল-আমিন কী হবে কেউ জানে না।