রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও রেলগেইট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত খিলগাঁও বাজারে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা হয় হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ডিম ব্যবসায়ী জিসান হাসান বলেন, “করোনাকালের আগে ভালো ছিল। করোনার পরে একটু খারাপ। আগে মনে করেন, বিশ হাজার বিক্রি করতাম ডিম। এখন দশ হাজারে নাইমা আসছে। কম আর কি, বেচাকেনা কম।”
ইউনুস মিয়া বলেন, “বিক্রেতাদের অবস্থা একেবারেই খারাপ। মানুষই আসে না। এইখানে দেখেন না সারাক্ষণ এইভাবে বইয়া থাকা লাগে। কোনো মানুষ নাই, কোনো কিছু নাই, বেচাকেনা নাই।”
আমির হোসেন খিলগাঁও বাজারে বিক্রি করেন বিভিন্ন প্রকারের শুটকি মাছ। করোনাকালে বিভিন্ন দেশের বিমানের ফ্লাইট বন্ধ থাকায় লোকসানে পড়েছেন তিনি। কারণ তার অধিকাংশ ক্রেতাই ছিলেন বিদেশ থেকে ঘুরতে আসা মানুষ।
তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীদের অবস্থা ভালো না।”
চা বিক্রেতা নুরুল মিয়া বলেন, “ব্যবসার অবস্থা ভালো না। সকাল থেকে বইসা আছি, ব্যবসা নাই। আমাদের গ্যাস তো চলতেছে, কারেন্ট তো চলতেছে।”
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে লাইব্রেরি ও স্টেশনারি দোকানদাররা। এমন এক দোকানদার ইমান হোসেন বলেন, “স্কুল বন্ধ, এহন বেচাকেনা একেবারেই দুর্বল। বেচাকেনা এহন আর আগে মতো নাই। আমাদের দোকান ভাড়া দিতেই কষ্ট হইতেছে।”
মোহাম্মদ ইয়াসিন আগে প্রতিদিন ব্যাগ বিক্রি করতেন প্রায় দশ হাজার টাকার। তবে এ মহামারির সময়ে তা নেমে এসেছে দুই থেকে তিন হাজার টাকায়। তিনি বলেন, “এখন কাস্টমার কম আসে, বেচাকেনা কম।"
মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, “ব্যবসা করা যেন একেবারে দায় হয়ে পড়েছে। মার্কেটে ক্রেতা কম আসতেছে করোনাভাইরাসের কারণে। অনেকে ভয় পায়।”
বাজারের পাশের রাস্তার ফুটপাথেই দেখা যায় অনেক মাছ বিক্রেতাকে। অনেকেই সেখান থেকে কিনে নেন মাছ, বাজারের ভেতরে প্রবেশ করেন না। ইব্রাহিম নামের একজন বিক্রেতা বলেন, “আগে তো বেচাকেনা অনেক হইতো। আগের থে এখন কইমা গেছে বেচাকেনা। কাস্টমার বাজারের ভিতরে আসে না।”