রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় গত তিন বছর ধরে বাদাম বিক্রি করছে ১৬ বছর বয়সী মো. তাফসির। জন্মেছেন অভাবের ঘরে, বাবার হার্টের সমস্যা তাই উপার্জন করতে পারেন না। টেনে হিঁচড়ে চলা সংসারে বিপদ বাড়িয়েছে মাদকসেবী বড় ভাই।
ভাগ্যের খোঁজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রাজধানীতে আসা তাফসির বলে, “এমনিতেই অভাব এরপর আবার দেশে জুয়া খেলত বড় ভাই, ২০১৮ তে ঢাকা আইছি। ভাই দুই জন, বোন চার জন। আমার আগের ভাইও বাদাম বিক্রি করে। বাপ কাজ করতে পারে না। আমি যা কামাই দেশে পাঠাই।”
কষ্টার্জিত আয়ের অংশ থেকে বেশিরভাগই পাঠিয়ে দেন মায়ের কাছে, যা বাঁচে তা দিয়ে দুই বেলা খেয়ে পড়ে দিন চলে তার। ঢাকায় থাকা-খাওয়ায় তার মাসে খরচ হয় আট হাজার টাকা। ইচ্ছে থাকার পরও চতুর্থ শ্রেণির বেশি পড়তে পারেনি সে।
তাফসির বলে, “বোন আর আমি পড়ালেখা করতাম। এখন মন বসে গেছে, আর স্কুলে যেতে মন চায় না। ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়ছি এরপর নিজের ইচ্ছায় ছাইড়া দিছি, যখন দেখলাম খরচ দিতে পারতাছে না।“
সংসারের অভাব-অনটনের কারণে কাঁধ থেকে স্কুলব্যাগ নামিয়ে গলায় ঝুলিয়েছে বাদামের ঝুড়ি। সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বাদাম বিক্রিতে দৈনিক তিন থেকে চারশ টাকা লাভ হয় তার।