একের পর ইট ভেঙে যাচ্ছেন। ২০ বছর ধরে হাতুড়িই যেন তার বেঁচে থাকার শক্তি। ছেলে, বউ ও নাতিকে নিয়ে মালিবাগ রেললাইনের ধারে ছোট খুপড়িতে থাকেন তিনি।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে তার কাজ। বস্তা প্রতি ৬০ টাকা পায় এই নারী।
কল্পনা হ্যালোকে বলেন, “কুড়ায় নিয়ে আসি ইট। সেই ইট সারাদিন ভাইংগা যে টাকা পাই তাই দিয়াই সংসার চালাই।”
স্বামীর বাড়ি নদী ভাঙনে তলিয়ে যাওয়ার পর ঢাকায় চলে আসেন তারা। এরপর থেকেই শুরু হয় দুমুঠো খাবারের জন্য দিনরাত পরিশ্রম।
কল্পনা হ্যালোকে বলছিলেন, “বাবার দেশ ফরিদপুর, বাবার বাড়ি আছে, আমাগোর বাড়ি নাই। স্বামীর বাড়ি বিক্রমপুর লৌহজংয়ে। নদী ভাঙনে বাড়িঘর ভাইসা গেছে। এরপর থেইকাই ঢাকায় থাকি।”
অসুস্থ ছেলে রিকশা চালিয়ে যে টাকা দেয় তা দিয়ে টানাপোড়েনের সংসার চলে না বলে নিজেই সবটা কাঁধে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন সংসার।