সারাদিন ময়লা-আবর্জনার সাথে কাটে তার সময়। ভ্যানে করে বাসা-বাড়ির ময়লা নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলাই তার কাজ। একমাস আগেও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াত সে। কোনো নির্দিষ্ট কাজ ছিল না ইসমাইলের। কিন্তু এখন কাজ করছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়।
মা থেকেও নেই, বাবা সবজি বিক্রি করে। ব্র্যাক স্কুলে ভর্তি হলেও পড়া শেষ করতে পারেনি সে।
ইসমাইল হ্যালোকে বলে, “গরিব মানুষ, রাস্তায় ঘুরতাম। এখন কাজ করি। ময়লায় কাজ করতে করতে দুর্গন্ধ সয়ে গেছে।"
ইসমাইলকে এ কাজ দেয় সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যস্থাপনায় কাজ করা মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি। কাজের সঙ্গী হিসেবে নিজের বেতন ও বাড়তি আয় থেকে ইসমাইলকে বেতন দেন তিনি।
মোহাম্মদ হ্যালোকে বলেন, “একদিন কমলাপুর ওরে ঘুরতে দেখি। এরপর কই আমার সাথে কাজ করবে নাকি। এরপর থেকে কাজ করছে।"
এ কাজ করে যে টাকা পায় তা দিয়েই তার বাবা সবজি কিনে বিক্রি করে বলে জানায় ইসমাইল।
ইসমাইল হ্যালোকে বলছিল, "মহাজন আমারে তিন হাজার টাকা দেয়। আবার প্রতিদিন ২০ টাকা করে দেয়। সেই টাকা বাবারে দেই, বাবা টুকিটাকি সবজি কিনে বেচে আর আমাদের সংসার চলে।"