খবরাখবর
‘বাবা মাকে সুখী করার স্বপ্ন দেখি’ (ভিডিওসহ)
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা ও নিজের আগ্রহ না থাকায় আর স্কুলে যাওয়া হয়নি ১১ বছর বয়সী পারভেজের।
চার বছর ধরে রাজধানীর চকবাজারে জন্মদিনের সরঞ্জামাদির দোকানে কাজ করে ও। মায়ের ইচ্ছাতে কাজ করা শুরু তার।
পারভেজ হ্যালোকে বলে, “মায় বাপ পড়াইতে চাইছিল কিন্তু আমি পড়তে পারি নাই। দুষ্টামি করতাম তাই মায় কামে দিছে।”
সকাল থেকে রাত অব্দি কাজ করে যে টাকা পায় তা মায়ের হাতে তুলে দেয় সে।
পারভেজ বলে, “এইখানে কাজ করে যে টাকা পাই মায়রে দেই। মা আমারে সেইখান থেইকা পঞ্চাশ টাকা দেয়।”
বড় হয়ে নিজেই একটি দোকান দিয়ে বাবা মাকে সুখি রাখার স্বপ্ন দেখছে সে।
“বাবা মা যাতে কষ্ট না পায় হেরহম ভাবে কাম করুম।”
ছোট বয়সেই অনেকটাই কাজ শিখে গেছে বলে জানায় দোকান মালিক সিরাজ। তিনি বলেন, “পারভেজ আমার এলাকায়ই থাকে। ওর মার কথায় আমি দোকানে কাজ দিছি। ভালো কাজ করে। আমি নিজে দোকানে না থাকলেও একাই বেচাকেনা করতে পারে সে।”