অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। করোনাকালে তার রুটিনে এসেছে অনেক পরিবর্তন। আগে শুধু স্কুল যাওয়া আসা আর পড়া নিয়ে থাকলেও এখন পড়াশোনার পাশপাশি কাজ করছে মামার দোকানে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানেই কেটে যায় তার ।
রিফাত হ্যালোকে বলে, “করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় বাসায় দুষ্টামি করতাম। তাই মামা দোকানে নিয়ে আসছে। এখনো কাজ শিখছি। কাজ শিখে নিজেরই উপকার হবে।”
এই দোকানের নিয়মিত ক্রেতা তারিকুল ইসলাম। তিনি হ্যালোকে বলেন, “আমি অনেকদিন ধরেই এই দোকান থেকে পাইকারি গহনা কিনি। ছোট মানুষ হিসেবে ওর ব্যবহার খুবই ভালো। এজন্য আসি। এই দোকান থেকেই কিনি।”
রিফাত সারাদিনের কাজ শেষে বাসায় গিয়ে স্কুলের হোম ওয়ার্ক করে। সে হ্যালোকে বলে, “এখানে কাজ শেষে বাসায় গিয়ে স্কুলের এসাইনমেন্ট শেষ করি।”
বড় হয়ে কি হতে চায় জানতে চাইলে সে হ্যালোকে জানায়, “ বড় হয়ে তো অনেক আশাই আছে,এখন আল্লাহ জানে কি হহয়”।
ছোট বয়সেই নিজের ইচ্ছাতেই মামার দোকানে কাজ শিখছে সে। মামা খুশি যে টাকা দেয় সেটাই তার অর্জন বলে মনে করে সে।
দুই ভাই, একবোনের মেজো রিফাত পরিবারের সাথে থাকে নেকরোজবাগে।