বংশালের ঘোষ স্ট্রিট এলাকায় মোটরগাড়ি মেরামতের দোকানে কাজ করে তারা।
কথায় কথায় জানা যায়, একজন পাঁচ মাস আর একজন এক সপ্তাহ ধরে কাজ করছে এ দোকানে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরিবারের ইচ্ছাতেই দোকানে কাজ শিখতে এসেছে বলে জানাল।
মোবারক হ্যালোকে বলে, “আমি চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। সাত দিন হইছে এখানে কাজ করছি।”
শিহাব বলে, “আমি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। করোনায় স্কুল বন্ধ তাই এখানে কাজ করছি।”
স্কুলে যাওয়া আসা আগের মত স্বাভাবিক হলে আবার স্কুলে ফিরে যাবে বলে জানায় মোবারক। স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে শিক্ষক হওয়ার।
অন্যদিকে শিহাব স্বপ্ন দেখে কাজ শিখে নিজেই একটা মোটরগাড়ি মেরামতের দোকান দেবে।
এখানে কাজ শিখে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারবে বলে মনে করেন ওয়ার্কশপ মালিক সেলিম।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “ওরা এখানে হাতের কাজ শিখছে।”
একজনের কাজ অন্য জন করে দেয়। কাজ করতে করতে এখন তারা বন্ধু বলে জানায় মোবারক।
দৈনিক ৫০ টাকা মজুরিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে তারা।