বয়স যখন এক বছর তখন অপটিক নার্ভ অকেজো হয়ে যাওয়ায় হারিয়ে ফেলেন দৃষ্টিশক্তি। তবে দমে যাননি তিনি। দৃষ্টিহীনতা জয় করে সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন।
এতদূর আসাটা খুব সহজ ছিল না বলে জানান বুশরা। তিনি হ্যালোকে বলেন, “ছোট বেলা থেকে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল। এতদূর পড়াশোনা করতে নানা ধরনের ঝামেলার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে আমার চারপাশের মানুষ সবাই খুব সাপোর্টিভ ছিল। তাই আমি পেরেছি।”
বুশরার ভালো লাগে গান গাইতে। নজরুল সংগীতের ওপর ছায়ানট থেকে অর্জন করেছে ডিগ্রিও। কিন্তু একজন দৃষ্টিহীন শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি মূলধারার সংগীত শিল্পীদের মতো হবে না বলে আশংকা তার।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “আমি জানি যত ভালো করি না কেন এই দেশে আমাকে মূলধারার শিল্পীদের মতো দেখা হবে না।"
বুশরা আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। তিনি হ্যালোকে বলেন, “একজন মেয়ে হিসেবে, ব্লাইন্ড পার্সন হিসেবে আমি ইউনাইটেড ন্যাশনের কোনো একটি সেক্টরে কাজ করতে চাই।"
তিনি যোগ করেন, "আমি গান খুব ভালোবাসি। গান নিয়ে থাকতে চাই। খুব বড় শিল্পী না হলেও মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত একজন শিল্পী হতে চাই। আমি মারা গেলেও আমার গানকে যেন সবাই মনে রাখে।"
তিন ভাই বোনের বড় বুশরা বাবা-মায়ের সাথে দক্ষিণ বনশ্রীতে থাকেন। সেখানেই মহামারি কালের দীর্ঘ অবসর কাটছে তার।