খারদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। ঘরবন্দি এই সময়টাতে গৃহ পরিচারিকা মাকে সাহায্য করে আর লেখাপড়া করে দিন কাটে তার।
খেলার ফাঁকে ফাঁকে ঘরের হাড়িপাতিল ধুয়ে রান্নাও করে ফেলছে সে।
আট বছর বয়সী সামিয়ার বেড়ে উঠা বাগেরহাটের খারদ্বার বস্তিতেই।
তার বাবা কাজ করেন চায়ের দোকানে। তিন ভাই বোনের মধ্যে সামিয়া মেজ।
ঘরবন্দি সময়ে বাসায় টিভি, মোবাইল ফোন না থাকায় দূরশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করতে পারছে না এবং এতে তার পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানায় সে।
ও বলে, “আমাগো তো টিভি, ফোন নাই। আমি পড়তে পারি না।”
মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন বলে জানালেন মা হোসনে আরা বেগম।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “সামনে পরীক্ষার সময় আসতেছে মেয়ে তো পড়তে পারে নাই কিছু। এখন কী হবে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”
সামিয়া স্বপ্ন দেখে পড়ালেখা করে অনেকদূর যাবে সে। বড় হয়ে একজন পুলিশ হয়ে মানুষের সাহায্য করবে, বাবা মায়ের পাশে থাকবে।