সম্প্রতি ইউনেস্কো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সারা বিশ্বে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ শিশু স্কুলে ফিরবে না।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে পাওয়া তথ্য মতে ২০১৮ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৩৭.০৭%। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে ছিল ৩৬.০১% ।
ইতিমধ্যে অনেক শিশুরা যুক্ত হয়েছে নানান কাজে। আগে স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত কহিনূর। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য স্কুল বন্ধ থাকায় এখন কাজ করছে অন্যের ছাদ বাগানে।
মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় বাগানে চাকরি নিয়েছে আশরাফুল। সে হ্যালোকে বলে, “এখন বাসায় বসে না থেকে কাজ শুরু করছি।”
করোনার সময় আর্থিক অভাব অনটনে পান বিক্রি শুরু করেছে সুমন। সে পড়ত পঞ্চম শ্রেণিতে। সে হ্যালোকে বলে, “টাকার অভাবে কাজ শুরু করছি।”
এদেরকে কাজ থেকে ফিরিয়ে আনা যাবে কিনা তা অনিশ্চিত বলে মতামত দেয় শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জ্যোতি পোদ্দার।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “করোনাভাইরাস উত্তর শিক্ষাক্ষেত্রে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। এক্ষেত্রে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের এক সাথে কাজ করতে হবে।”