ঢাকায় রামপুরা হাজিপাড়ার একটি হোটেলে দুপুর থেকে রাত অব্দি কাজ করে সে।
কখনো টেবিল মোছা, কখনো গ্লাসে পানি ভরা আবার কখনো চায়ের কাপ এগিয়ে দেওয়াই তার কাজ।
গ্রামের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়লেও এখন পরিবারকে সাহায্য করতেই তার ঢাকায় আসা।
নাঈম হ্যালোকে বলে, “স্কুল বন্ধ, তাই ঢাকায় আইছি। এখান থেকে যে টাকা পামু পরিবাররে দিমু।”
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার গ্রামে গিয়ে পড়ালেখা শুরু করার ইচ্ছা নাঈমের। বড় হয়ে ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে।
সে হ্যালোকে বলে, “স্কুল খুললে আবার বাড়ি চইলা যামু।”
শিশু হয়েও তার পরিবারকে সাহায্য করার মানসিকতা রয়েছে বলে জানান হোটেল মালিক রহিম শেখ। তিনি হ্যালোকে বলেন, “অভাবের জন্য ঢাকায় আসছে কাজ করতে। আমরা ওকে সেই ধরনের কাজই করতে দেই যেটা ও করতে পারব।”