অবসরে খাতা ভরে ফেলতাম নানা আজগুবি লেখা দিয়ে। আশেপাশে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাও লিখতাম। প্রকাশের কোনো মাধ্যম আছে কিনা জানা ছিল না। এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছিলাম হাল।
ঠিক তখনই হঠাৎ করে পরিচয় হয়ে গেল হ্যালোর সঙ্গে। জানতে পারি শিশুরা সাংবাদিকতার সুযোগই দেয় এই গণমাধ্যম। মনে শক্তি ও উৎসাহ পেলাম। আবার নতুন করে ভাবতে শুরু করি। নিবন্ধন করে যুক্ত হয়ে যাই হ্যালোতে।
জীবনের প্রথম সুযোগ, তা-ও আবার এত বড় গণমাধ্যমে! এটা ভেবেই আনন্দ হয় আমার। প্রথম যেদিন লেখা প্রকাশ হলো, সেদিনটা আমার কাছে ডায়েরির পাতায় তুলে রাখার মতো একটি দিন। প্রচণ্ড উচ্ছ্বাস কাজ করেছে সেদিন।
ঝড় বৃষ্টিতে গ্রামে দুই-তিন দিন বিদ্যুৎ ছিল না। আমার ফোনটা বন্ধ হয়ে পড়েছিল। প্রকাশ হওয়ার দুই দিন পর আমি লেখাটা দেখি। প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ। আমার জীবনের অন্যতম উপহার ছিল এটি।
হ্যালোর কাছ থেকে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো আমি এখন কিছুটা হলেও গুছিয়ে লিখতে পারি। তাই অনেক মাধ্যমেই এখন লেখালেখির সুযোগ পাই। নির্দিষ্ট বয়স সীমার কারণে একদিন হ্যালো থেকে চলে যেতে হবে, কিন্তু হ্যালো যা শেখাল এটা আজীবন মনে থাকবে। পথটাকে সহজ করে দিল হ্যালো।