রাজধানীর আফতাব নগর এলাকার একটি কারখানায় কাজ করে ও।
কথায় কথায় জানা গেল ওর বয়স ১১ বছর। এই গ্যারেজেই ওর এক বন্ধুও হয়েছে। নাম সৌরভ। ওর বয়স ৯ বছর।
জানা গেল এখানে কাজ করতে এসে বন্ধুত্ব হয়েছে দুজনের। দুইজন একসঙ্গেই কাজ করে।
চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার সুযোগ হয়েছিল বিশালের। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই মা অসুস্থ। এরপর নানা-নানীর টানাটানির সংসারে আর লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি তার।
বিশাল হ্যালোকে বলে, “ক্লাস ফোরের পর আর পড়তে পারি নাই। এখন কাজ শিখার জন্য এইখানে কাজ করি।”
অন্যদিকে সৌরভের দ্বিতীয় শ্রেণির পর আর পড়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি। দুই বোনের ছোট সৌরভ আর্থিক অভাবেই আর পড়তে পারেনি বলে জানায় হ্যালোকে।
বিশাল এক বছর আর সৌরভ এখানে কাজ করছে দেড় বছর ধরে। বিনা পয়সায় সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে তাদের এ কাজ শেখা। কাজ শিখে অন্য কারখানায় কাজ করার পাশাপাশি বড় হয়ে নিজেরাই কারখানার মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখে তারা।
এখানে কাজ শিখেই ওরাআ নিজেকে দক্ষ করতে পারবে বলে জানায় দোকান মালিক মো. আজিম।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “ওদের আর্থিক অবস্থা ভালো না বলেই এখানে কাজ শিখছে। এখান থেকে কাজ শিখে ওরা নিজেকে দক্ষ করতে পারবে। পরবর্তীতে নিজেরাও গ্যারেজ দিতে পারবে। ওদের একটা ভালো ভবিষ্যৎ হবে।”