তার সঙ্গে যখন কথা হয় তখন সে বিস্কুট সাজাতে খুব ব্যস্ত ছিল। করোনাভাইরাসের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় এসেছে সে।
দ্রুত হাতে কাজ করতে করতে সাহাবুদ্দিন হ্যালোকে বলে, “ স্কুল বন্ধ, পড়াশোনাও নাই তাই কাজ করতেছি।”
বেকারিতে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে ও। ঘরবন্দি সময়টা কাজে লাগাতে এবং পরিবারকে সাহায্য করতেই তার এই কাজ করা বলে জানায় সে।
সে হ্যালোকে জানায়, “আমি এখানে কাজ আড়াই হাজার টাকা পাই। সেই টাকা আমি আমার পরিবারকে দেই।”
তের বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন বড় হয়ে হতে চায় ব্যাবসায়ী।
সমাজ বাস্তবতায় পরিবারের আর্থিক অনটন ঘোচাতে ঢাকায় আসা সাহাবুদ্দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে আবার বাড়ি ফিরে গিয়ে পড়াশোনা করবে বলেও জানায়।