মহামারি করোনাভাইরাসের জন্য ছয় মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ঘোরাঘুরি, বন্ধুদের সাথে আড্ডা- অনেক কিছু থেকেই দূরে আছে শিশুরা। এ নিয়ে কয়েকজন শিশু ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
এক অনলাইন কথোপকথনে মিরপুর থেকে শিশু শ্রেষ্ঠ জানায়, তার এই দীর্ঘ বন্দিত্বে ভালো না লাগার কথা।
মোবাইল ফোনে কথা হয় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ১২ বছর বয়সী অর্ঘের সাথে। সে হ্যালোকে বলে, "বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলতে না পেরে এখন আর কিছুই ভালো লাগে না।"
রাবেয়া সুলতানা পান্না নামে একজন অভিভাবকের সাথেও কথা হয়। তিনি একজন আবৃত্তি শিল্পী।
হ্যালোকে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকা সদ্য কৈশোরে পা দেয়া তার মেয়ের মনের অবস্থা নিয়ে তার চিন্তার শেষ নেই। বুঝে উঠতে পারছেন না কী করবেন।
একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে আলভিরা। সে হ্যালোকে বলে, "অনেক দিন ধরে ঘরে থাকতে থাকতে এখন ঘরেই ভালো লাগছে।"
তোফাজ্জল হোসেন শাহিন নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও কথা হয় প্রতিবেদকের। তার স্ত্রীও কর্মজীবী। ঘরে তাদের দুই ছেলে সন্তান।
তিনি জানান, ছেলেরা কোথাও তেমন যেতে পারছে না। তাদের বিমর্ষ ভাব দেখে চিন্তা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।