মির্জাপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে টানা বর্ষণ আর নদ-নদীর পানি বেড়ে বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ আর বাড়ছে দুর্ভোগ।
মির্জাপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

উপজেলার পৌরসভার বেশ কয়েকটি  ওয়ার্ড এবং মহেড়া, ভাদগ্রাম, লতিফপুর, বহুরিয়া, আনাইতারা, বানাইল, ভাওড়া, জামুর্কী, উয়ার্শী, তরফপুর ইউনিয়নের  বাড়ি ঘর তলিয়ে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গৃহপালিত পশু ও ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ব্রিজের উপর ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেক পরিবার।

এদিকে, প্রতি বছরের মত মির্জাপুর পৌর এলাকার কয়েকটি বসতবাড়িসহ ফতেপুর ইউনিয়নে এবারও বেশকিছু বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক ও গ্রামের ভেতরের রাস্তাগুলো প্লাবিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে ।

উপজেলা সদরের বাসিন্দা পেয়ারা বেগম বলেন, "আমার ঘরে এখন হাটু পানি। জিনিসপত্রগুলো উঁচু করে রেখে এখানেই বসবাস করছি। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে জানি না কতদিন থাকতে পারব।"

জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্লা পূর্ব পাড়ার মন্টু মিয়া বলেন, "গত ১৫ বছরে এত পানি দেখি নাই। বাড়ির উঠানে পানি, রাস্তা তো ডুবছে অনেক দিন হলো। রাস্তাটা মাটি ফেলে উঁচু করে দিলে মানুষের দুর্ভোগ কম হইত।"

মহেড়া ইউনিয়নের আদাবাড়ীর ইব্রাহিম মিয়া বলেন, "প্রতি বছর আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় হাটু পানি থাকলেও এবার বাড়ির সমান পানি হইছে। একদিন গেলে হয়তো উঠানে পানি আসবে।"

বানাইল ইউনিয়নের বাংগল্যা গ্রামের তিন্নি আক্তার বলেন, "করোনাভাইরাসের ভয় নয় চিন্তা এখন বন্যার পানি নিয়ে। শিশুরা তো এমনিতেই ঘরবন্দি ছিল। এখন বাড়ির  চারপাশে পানি ওদের অবস্থা খুব খারাপ। রান্না করতে সমস্যা, টয়লেটের সমস্যা খবু কষ্টে আছি।"

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, "পানিবন্দি মানুষের জন্য হটলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে। উপজেলার যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যামুক্ত রয়েছে সেগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা করছি। খাদ্য সংকট রোধে প্রথম পর্যায়ে ২৭ টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সামনে বরাদ্দ আরো বাড়ানো হবে।"

তুমি কি জান, সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা হ্যালো শুধুই শিশুদের কথা বলে? বয়স যদি ১৮’র কম হয়, তাহলে তুমিও হতে পার শিশু সাংবাদিক! তাহলে আর কী, নিজের তৈরি প্রতিবেদন, ভিডিও প্রতিবেদন, ভ্রমণকাহিনী, জীবনের স্মরণীয় ঘটনা, আঁকা ও তোলা ছবি, বুক বা সিনেমা রিভিউ পাঠাতে পার আমাদের কাছে। লিখতে পার প্রিয় সাহিত্যিক ও ব্যক্তিত্বকে নিয়েও। এমনকি নিজের কথা লিখতেও নেই কোনো মানা।

লেখা ও ভিডিও পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম, ফোন নম্বর, জেলার নাম ও ছবি দিতে ভুলবে না কিন্তু। তবে তার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করো reg.hello.bdnews24.com

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com