হ্যালোকে তিনি বলছিলেন, “একদিন প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আমি গাড়ি চালাতে পারছিলাম না। নেমে গাড়ির নিচে কান্নার শব্দ শুনতে পাই। তখন দেখি কেউ একটি বিড়ালের বাচ্চা যার চোখও ফোটেনি, তাকে পলিথিনের ব্যাগে রেখে, ব্যাগটি বেঁধে ফেলে গেছে। আমি তারপর বাচ্চাটিকে বাসায় নিয়ে যাই, চিকিৎসা করাই।”
এ থেকে প্রাণির প্রতি তিনি অন্যরকম এক টান অনুভব করতে থাকেন। তাদের সেবা করতে 'রবিনহুড অ্যানিম্যাল রেসকিউয়ার' নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন।
জরুরী সেবা ৯৯৯ এর সাথে যুক্ত হয়েছে সংগঠনটি। কোনো প্রাণির বিপদের কথা শোনা মাত্রই ছুটে যায় এর স্বেচ্ছাসেবীরা।
জীবন বাজী রেখে বহুতল ভবন থেকে প্রাণী উদ্ধার করায় 'রবিনহুড' খেতাবটি পেয়েছেন বলে জানান আফজাল খান। তিনি সর্বোচ্চ আঠারো তলা থেকে প্রাণী উদ্ধার করেছেন বলেও জানান।
রানা প্লাজার মতো বিভিন্ন দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। একটা সময় ভাবলেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনেকে থাকলেও প্রাণীদের রক্ষায় কেউ কাজ করছেনা। তাই শুরু করেন প্রাণী উদ্ধারের কাজ।
শুরুর দিকের কথা বলতে গিয়ে তিনি হ্যালোকে বলছিলেন, “এমনও হয়েছে আমি পাঁচ তালা থেকে বিড়াল নামাচ্ছি, মানুষ নিচে অট্টোহাসি হাসছে। আমাকে পাগল ভেবে পাথর মারছে।”
এ ছাড়াও বিকলাঙ্গ প্রাণিদের পুনর্বাসন, করোনাকালে রাজধানীর অলিগিলতে অসহায় প্রাণিদের খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে তার সংগঠনটি।
আফজাল খান একটি হ্যালোর মাধ্যমে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন সব বয়সী মানুষের কাছে।
মহামারির এই সময়ে সবার বাসার সামনে পশুপাখির জন্য কিছু খাবার রেখে দেওয়ার পরামর্শ দেন আফজাল খান।
তুমি কি জান, সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা হ্যালো শুধুই শিশুদের কথা বলে? বয়স যদি ১৮’র কম হয়, তাহলে তুমিও হতে পার শিশু সাংবাদিক! তাহলে আর কী, নিজের তৈরি প্রতিবেদন, ভিডিও প্রতিবেদন, ভ্রমণকাহিনী, জীবনের স্মরণীয় ঘটনা, আঁকা ও তোলা ছবি, বুক বা সিনেমা রিভিউ পাঠাতে পার আমাদের কাছে। লিখতে পার প্রিয় সাহিত্যিক ও ব্যক্তিত্বকে নিয়েও। এমনকি নিজের কথা লিখতেও নেই কোনো মানা। লেখা ও ভিডিও পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম, ফোন নম্বর, জেলার নাম ও ছবি দিতে ভুলবে না কিন্তু। তবে তার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করো reg.hello.bdnews24.com |