কেউ কেউ জানিয়েছে ইন্টারনেট সমস্যা ও দাম বেশি হওয়ায় ক্লাস করতে পারছে না তারা।
এ ব্যাপারে বেশকিছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
সিরাজগঞ্জ জেলার ভদ্রঘাট শামছুন মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাসি খাতুন বলে, “আমাদের গ্রামে কোনো সিমের নেটওয়ার্ক ভালো পায় না। সেজন্য অনলাইন ক্লাস ভালোভাবে করতে পারি না।”
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসিন খাতুন জানায় তার ডিভাইস সংকটের কথা।
ও বলে, “আমার ফোনে চার্জ বেশি থাকে না তাই চার্জে দিয়ে অনলাইন ক্লাস করতে করতে ফোন গরম হয়ে যায়। মাঝে মাঝে ক্লাস আটকে যায়। খুব সমস্যায় রয়েছি।”
ঘরে নেটওয়ার্ক তো পায়ই না, বাড়ির বারান্দায় এসেও করতে চাইলেও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ক্লাস করতে সমস্যা হয় বলে অভিযোগ করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি খাতুন।
এছাড়া সংসদ টিভিতে শুধুমাত্র স্কুলের পাঠদান না করে কলেজকেও সংযুক্ত করার অনুরোধ করে একাদশের শিক্ষার্থীরা।
সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকাশ খান বলে, “আমার স্মার্ট ফোন না থাকায় অনলাইন ক্লাস করতে পারি না। সংসদ টিভিতেও একাদশের ক্লাস হয় না। এইজন্য আমি অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ছি।”
খোকন খান নামের একজন অভিভাবক বলেন, “আমরা যে কাজ করি তাতে নিজের ছেলেকে প্রতিদিন অনলাইন ক্লাস করানোর খরচা দিতেও সমস্যা হয়। তাই আমার মেয়ে অনলাইনে ক্লাস করতে পারে না।”
আব্দুল জলিল সেখ নামের আরেক অভিভাবক বলেন, “অনলাইন ক্লাস করে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া কখনো সম্ভব না। খরচ বেশি, ইন্টারনেট কানেকশনের সমস্যা তো আছে। সরকারের উচিত গ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া।”