নতুন করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। সচেতনতার অভাবে ভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর নানা কৌশল ব্যর্থ হচ্ছে। বেশি সংখ্যক মানুষই মানতে চাইছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমন চিত্র দেখা গেছে কিশোরগঞ্জ শহরেও। বর্তমানে রেড জোনে রয়েছে শহরটি, তবুও নেই সচেতনতার বালাই।
তাই কিশোর-কিশোরীরা মাঠে নেমে সামাজিক দূরত্ব মেনেই মানুষকে সচেতন করছে।
তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে আমার। নামগুলো না বললেই নয়। আফিফা আসলাম আঁচল, মাহমুদুল হক রিয়াদ, উম্মে তাসনিম ইন্নি, হৃদয় সরকার, শাইরা হোসেন ম, তৌহিদুর রহমানরা এই গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে।
তারা জনসাধারণকে বোঝাচ্ছে, যেখানে সেখানে কফ-থুথু ফেলা বা হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
গণপরিবহন স্ট্যান্ডে গিয়ে তারা যাত্রীদের যেমন বলছে, তেমনি চালক আর মালিকদের বলছে, যানবাহনে জীবাণুনাশক রাখতে। অনেক বাড়িতে খণ্ডকালীন গৃহকর্মীরা কাজ করতে আসে, তাদের সুরক্ষার জন্যও বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে এই কিশোর-কিশোরীরা।
যারা বেড়াতে যাচ্ছে কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে তাদের গিয়ে তারা বোঝাচ্ছে, এখন উৎসবের সময় নয়। আমাদের আগে বাঁচতে হবে। চায়ের দোকান কিংবা মুদির দোকানগুলোতে আড্ডা দেওয়া মানুষদের তারা বোঝাচ্ছে। জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য।