কোনটা বলি কোনটা বলি করতে গিয়ে বলল, “আমার বয়স যখন ছয় বছর আমি খুব অসুস্থ হয়ে এক মাস বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তখন বাবা মশার কামড় খেয়ে, শীতে কষ্ট করে, না ঘুমিয়ে আমার সাথে থেকেছেন। সব সময় ভালো থাকুক এই বাবা নামের মানুষটি।"
বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলে, "তোমায় কখনো ভুলব না, বড্ড ভালোবাসি বাবা।”
বাবা দিবসে বাবাকে নিয়ে অনেক শিশুই হ্যালোকে নিজেদের ভাবনাগুলো জানিয়েছে।
ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইসা ফারুক হ্যালোকে বলে, “যখন বাবার সব কথা শুনি তখন বাবা খুব আদর করেন, ঘুরতে নিয়ে যান। আবার যখন বাবার কোনো কথা অমান্য করি তখন বাবা কঠোরভাবে শাসন করেন। তবে বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসেন, আমিও বাবাকে অনেক ভালোবাসি।”
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থ সামিউল ভূঁইয়া বলে, “আমার বাবা শিক্ষক, অনেক পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করেন। কিন্ত আমাদের যেকোনো আবদার পূরণ করেন। এ ব্যাপারে তিনি অনেক উদার কিন্তু নিজের প্রয়োজনে কৃপণ।”
পাঁচ ভাই-বোনের সবচেয়ে ছোট কামাল উদ্দিন। ফেনী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে পড়ছে সে। বাবার সাথে অসংখ্য ভালো খারাপ স্মৃতি রয়েছে তার। তবে বাবাকে কেউ কষ্ট দিলে বা বাবাকে কাঁদতে দেখাটাই তার কাছে সবচেয়ে কষ্টের।
সে বলছিল, “সাহস করে কখনো তোমাকে বলতে পারিনি, বাবা তোমাকে অনেক ভালোবাসি।”