হ্যালোর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় নতুন এ ব্যবস্থা মানিয়ে নিতে পারছে না বলেও জানিয়েছে কেউ কেউ।
রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসনুন নাবিলা আলম বলেন, "ইন্টারনেট কিনে অনলাইনে ক্লাস করাটা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তারপর আবার কানেকশন সমস্যার জন্য ভালো মতো ক্লাস বুঝতে পারছি না। দুই লাইন দেখতে পাইতো তিন লাইন দেখতে পাই না। এইসব সমস্যার জন্য পড়ার ইচ্ছাই হারিয়ে যাচ্ছে।"
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ মনাকষার হুমায়ূন রেজা উচ্চ বিদ্যালয় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাকরিন আক্তার দিবা বলেন, "করোনাভাইরাসের কারণে পড়াশোনা একেবারে গোল্লায় গেছে। পড়ায় মন বসছে না। সংসদ টেলিভিশনে মাঝে মাঝে ক্লাস করলেও কয়েকবার দেখেছি আমার পড়ার সঙ্গে সেটা মিলছে না।"
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, "আমি গ্রামে আছি। আমার গ্রামে এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। সোলার প্যানেলের টিম টিম আলোতে কোনোমতে পড়াশোনা করছি। এখন যদি অনলাইনে ক্লাসকে বিকল্প হিসেবে পড়াশোনা শুরু করে তবে আমার জন্য সেটা খুবই খারাপ হবে।"
শিক্ষকরাও বলছেন সমস্যার কথা।
রাজশাহীর শাহ্ মখদুম কলেজের প্রভাষক মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, "বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং কোচিং সেন্টারগুলো অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি ভালো। কিন্তু এখানে সব শিক্ষার্থী উপকৃত হচ্ছে কিনা বলা কঠিন। কারণ আমাদের দেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর হাতে কিন্তু স্মার্টফোন নেই। থাকলেও ডাটার মূল্য অনেক বেশি। নেটওয়ার্ক সমস্যা তো আছেই।"
তিনি যোগ করেন, "এছাড়া ক্লাসে যখন একজন স্টুডেন্ট উপস্থিত থাকে, টিচার কিন্তু তার ফেইস এবং চোখ দেখে বুঝতে পারে স্টুডেন্ট পড়াটা বুঝতে পেরেছে কি না। অনলাইনে কিন্তু সেটা সম্ভব না ফলে শিক্ষকরাও তৃপ্ত হতে পারছেন না।"