অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে বৃদ্ধার (ভিডিওসহ)

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তির কাজ না থাকায় দুই ছেলেসহ অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের এক বৃদ্ধার।
অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে বৃদ্ধার (ভিডিওসহ)

টিনের ছোট ঝুপড়ি ঘরে গাদাগাদি করে ছেলেদের সাথে বসবাস করেন ৬৫ বছর বয়সী জামিলা বেগম।

সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় তার।

তিনি বললেন, “কখনো খেয়ে আবার কখনো বা না খেয়েই দিন পার করছি, কিন্তু আমার খোঁজ রাখে না কেউ। কর্মক্ষম ছেলে কাজের অভাবে বাড়িতে বসে আছে। ঘরে চাল, ডাল কিছু নাই।

“আশেপাশের মাইনষ্যের দেওয়া খাবার অল্প কইরা খাইয়্যা দিন নিতাছি।”

গোলাপি রঙয়ের শাড়ির আচঁলে চোখ মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার পাকুল্ল্যা পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা এই নারী।

অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে বৃদ্ধার

জানান, তিন জনের ছোট সংসার জমিলার। বড় ছেলে আক্তার হোসেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের চেকারের কাজ করতেন। দিন ২৫০ টাকা করে আয় হতো। এছাড়া দিনের বাকি সময়ে বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করতেন। যা আয় হতো তাই দিয়েই চলত সংসার। আরেক ছেলে ইমরান হোসন মানসিক ভারসাম্যহীন।

সরকারি কোনো সাহায্য পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মেম্বার, চেয়ারম্যানের
কাছে কত বার গেছি তার হিসাব নাই। বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতাও পাই না।

“শেষমেশ ১০ টাকার চাউলের কার্ডের জন্য এমন কোনো মানুষ নাই তার কাছে যাই নাই। মহিলা
মেম্বারের কাছে কয়েকবার গেছিলাম। কেউ আমারে একটা কার্ড করে দিল না!”

জামুর্কী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদেস্য নুরুল ইসলাম পিয়ারা বলেন, “আমার কাছে নতুন কার্ড আসলেই তাকে একটা ব্যবস্থা করে দিব। তার কাগজ জমা নিয়েছি।“

এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, “যদি কেউ এখনো ত্রাণ না পেয়ে থাকে তবে আমরা ত্রাণ পৌঁছে দেব। আর যদি সে ভিজিএফ ও ১০ টাকার চাল পাবার যোগ্য হয়। তবে অবশ্যই তার ব্যবস্থা করে দিব।“

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com