শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদে শিশু-কিশোররা একত্রিত হয়ে এ উদ্যোগ নেয়।
গ্রামের মধ্যে একটি এলাকার দুইদিকের প্রবেশ মুখে বাঁশ দিয়ে আটকে দেয় তারা। আগতদের জন্য রাখা হয়েছে সাবান, পানি ও জীবাণুনাশক স্প্রে।
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার শাওন প্রীতম হ্যালোকে বলে, "আমরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য লকডাউন করেছি। বাইরে থেকে কেউ এলে তাকে হাত ধুয়ে, স্প্রে করে ঢুকতে হয়।"
আরেক শিশু আজহারুল ইসলাম আতিক জানায়, আমাদের এলাকায় সবাই এখন বাজারেও যায় না। বড়রা একসাথে বসে আলাপ করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আসিফ নামে আরেকজনের সঙ্গে কথা হয়। সে বলে, "আমরা সবসময় মাস্ক পড়ে থাকার চেষ্টা করি। প্রতিদিন দুপুরে গোসলের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্লিচিং স্প্রে করি।"
দুজন অভিভাবকের সঙ্গেও কথা হয় হ্যালোর। শামীম গাজী নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, "শিশুদের কাজে অভিভূত হয়েছি। তারা নিজেরা বেশ সচেতন। খবর পড়ে পড়ে তারা বড়দেরকে নানা বিষয় শেখাচ্ছে। আমরাও তাদেরকে উৎসাহ দিচ্ছি। সাবান ও ব্লিচিং কিনে দিয়েছি, বাঁশ আটকানোর জন্য রশি দিয়েছি।"
সাদিয়া আফরিন নামে একজন গৃহিনী বলেন, "আমি নিজের সেলাই মেশিন দিয়ে মাস্ক বানিয়েছি। শিশুরা এগুলো বিতরণ করেছে। একেক জনকে তিনটা করে দিতে পেরেছি।"
তিনি যোগ করেন, "সবাইকে বাসায় নামাজ পড়ার বিষয়টাও বুঝিয়ে বলে যাচ্ছি। শবে বরাতে সবাই আমাদের কথা মেনেছেও। কেউ বাইরে যায়নি, ঘরেই ইবাদত করেছে।"