এ ব্যাপারে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় কয়েক জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের।
তারা জানায়, বাসায় মোবাইল, টিভি, গল্প করা নিয়েই ব্যস্ত থাকছে তারা। লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগও কমে যাচ্ছে।
জান্নাতুল মাওয়া অর্পিতা নামের একজন শিক্ষার্থী বলে, “আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা দেব। এত বড় একটা বোর্ড পরীক্ষা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল, কোচিং, প্রাইভেট বন্ধ থাকায় কোনোভাবেই লেখাপড়ায় মন বসছে না।”
আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুল নায়মা বলে, “করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল, কলেজ সব বন্ধ। কিন্তু স্কুল খোলা থাকলে এসএসসির কোচিংটা ভালো করে করতে পারতাম। লেখাপড়া ভালো হতো।”
অভিভাবকরাও বলছেন শিশুদের বার বার পড়ার তাগিদ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফেরদৌস আরা নামে একজন অভিভাবক বলেন, “আমার এক মেয়ে সামনে এসএসসি দিবে, আরেক মেয়ে জেএসসি পরীক্ষা দিবে।"
এ ব্যাপারে সানজিদা সুলতানা নামের একজন শিক্ষক বলেন, “প্রতিদিন স্কুলে গেলে বাচ্চাদের হোম ওয়ার্ক থাকে, ক্লাসে পড়া হয়। এভাবে বাচ্চাদের সিলেবাস সম্পন্ন হয়ে যায়।
"এখন যেহেতু তারা সেই সিস্টেমের মধ্যে নেই তাদের মধ্যে পড়ার প্রতি অবহেলা তৈরি হতে পারে। তাই তাদের নিজেদের একটা রুটিন করে সেই অনুযায়ী পড়তে হবে, অভিভাবকদেরও খেয়াল রাখতে হবে তারা সেটা অনুসরণ করছে কি না।"