নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারতজুড়ে 'লকডাউন' ঘোষণা করায় দেশে ফিরতে পারছেন না তারা। অর্থ সংকট, থাকার সমস্যা ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার মতো আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে আছে সিরাজগঞ্জের কয়েকজন।
তাদের পরিবারসূত্রে জানা গেছে, ৩ মার্চ সিরাজগঞ্জ থেকে একসাথে ভারতে চিকিৎসা নিতে যান আট জন।
তাদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম খান পেশায় জেলা জজ আদালতের সেরেস্তাদার। বেশ কিছুদিন ধরে নানা শারিরীক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ৩ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই শহরে যান। মোবাইল ফোনে সাইফুল ইসলাম খান হ্যালোকে বলেন, "বেশ কিছুদিন আগে আমার ব্রেন স্ট্রোক হয়, অনেকদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছি। এবারও ভারতের চেন্নাইয়ে এসেছি চিকিৎসার জন্য। বাংলাদেশে ফেরার জন্য টিকেট সংগ্রহ করলেও আবার সেটি বাতিল করতে হয়েছে।
"আমরা জানি ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমনের হার তুলনামূলক বেশি, তাই আমরাও সংক্রমণ ঝুঁকিতে আছি। এছাড়া খাদ্য, বাসস্থান, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছি আমরা।"
আমিরুল মুমিনিন নামে আরেকজন বলেন, "আমরা দেশে ফেরার জন্য ট্রেন ও বিমানে টিকেট কাটার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতির জন্য আবার তা বাতিল করতে হয়েছে।
"৩১ মার্চ আমার ভিসার মেয়াদ শেষ। অল্প দিনের থাকা এবং চিকিৎসার জন্য যে টাকা নিয়ে এসেছিলাম তাও ফুরিয়ে আসছে। এখানে সব মিলিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমাদের। আমরা খুব অসহায়ের মত জীবন যাপন করছি।"
দেশে অবস্থানরত সাইফুল ইসলাম খানের স্ত্রী হ্যালোকে বলেন, "তিনি অসুস্থ হওয়ায় পর থেকে আমাদের মনের অবস্থা ভাল ছিল না। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইের ভেলোরে পাঠাতে সিদ্ধান্ত হয়। পরিবারের কর্তা এই মহামারীর মধ্যে বাসায় নেই। আমি নিজেই মনবল হারিয়ে ফেলছি।"
সবাইকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।