জানা যায়, এখানে অগ্নি নির্বাপণসহ ভূমিকম্প, বজ্রপাতের সময় করণীয় এবং ফার্স্ট এইড নিয়ে মোট চারটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
পাশাপাশি থ্রিডি সেমুলেশনের মাধ্যমে আগুন নেভানোর বিভিন্ন কৌশলও শেখানো হচ্ছে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের।
শিশুরা যাতে সহজে মনে রাখতে পারে সেজন্য ছবি ও গেমসের মাধ্যমে এসব কৌশল শেখানো হচ্ছে তাদের।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, “একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশে যে পরিমান আগুন লাগে তার ৩১ শতাংশ আগুন ইলেক্ট্রিকাল ফায়ার এবং ১৮ শতাংশ আগুন কিচেন ফায়ার।
“এই জন্য এই প্রথম আমরা নারী ও শিশুদের প্রাধান্য দিয়ে তাদের হাতে কলমে আগুন নেভান শেখাতে থ্রিডি গেমস নিয়ে এসেছি। সাথে সাথে বাচ্চাদের জন্য কিছু বই রেখেছি।
“আপনারা জানেন যে সব আগুনের শুরুটা ছোট শুধুমাত্র কেমিকেলের আগুন ছাড়া। তাই শুরুতেই যদি আগুনটা নিভিয়ে ফেলতে পারি তাহলে আর বড় আগুন হবে না।”
স্টলটিতে গিয়ে দেখা যায় শিশুদের আগ্রহী করতে রাখা হয়েছে অগ্নি নির্বাপণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ব্যবহার করা পোশাকের আদলে তৈরি পোশাক। সেখানে কথা হয় শিশু তামিমের সঙ্গে।
ও বলে, “আমার খুব ভালো লাগছে, আমি অনেক কিছু জানতে পারব তাই আমার খুব আগ্রহ হচ্ছে।”
রায়েরবাজার থেকে আসা আফরিন আক্তার বলেন, “আমরা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় থাকি, সেখানে অনেক সময় আগুন লাগে। আগে জানতাম না আগুন কীভাবে নেভানো হয়, এখন দুর্ঘটনা ঘটলে চেষ্টা করব, মনে হয় আগুন নেভাতে পারব।”
স্পৃহা বাংলাদেশ নামের এক সংস্থা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঘুরতে নিয়ে এসেছে বই মেলায়। এই সংস্থার কর্মী হালিমা বলেন, তারা শিশুদের জন্য চারটি বই কিনেছেন ফায়ার সার্ভিসের স্টল থেকে।
তিনি আরও বলেন, “এই শিশুরা যেহেতু বস্তি এলাকাগুলোতে থাকে সেখানে আগুনের দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। তাই এই বইগুলো তাদের সাহায্য করবে।”