হাতে দেওয়া একটি কিউব নাড়াচাড়া করলে চোখে দেওয়া ভিআর হেডসেটে দেখা যাবে তার প্রতিফলন। ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ এর সাথে সব কিছুই মনে হবে বাস্তব। অসাধারণ এই প্রযুক্তি দেখতে স্টলগুলোর সামনে ছিল শিশুদের ভীড়।
যেখানে ভার্চুয়াল তথ্য কেন্দ্রিকভাবেই ভিআরের সৃষ্টি, সেখানে অগমেন্টেড রিয়েলিটির ভিত্তি হলো প্রাকৃতিক পরিবেশ আর ভার্চুয়াল তথ্য দুটোই। ওদিকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি তৈরিতে অনেক বাড়তি প্রযুক্তিগত সুবিধা পাওয়া যায়। আর এই বৈশিষ্ট্যই এআরকে এনে দিয়েছে এক অনন্য রূপ।
আট বছর বয়সী রায়হান আহমেদ মুন্না বলে, “অনেক ভালো লেগেছে। আমি এখানে সমুদ্র দেখেছি। সাথে জাহাজও দেখেছি।”
ভিআর হেডসেট চোখে দেওয়ার পর বেশ উচ্ছ্বসিত শিশু জাহিদ হোসেন। সে বলে, “আমার মাথা খুব ঘুরাইতাছে। মনে হচ্ছে আমি রিয়েল লাইফে এমন করতেছি। মনে হচ্ছে বরফগুলো একদম সামনে আমার। মনে হচ্ছে সবই আমি নিজে করতাছি।”
বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়নে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এবং অগমেন্টেড রিয়ালিটির অভিজ্ঞতা পেয়েছেন অন্যান্য দর্শনার্থীরাও। শিশুদের সাথে সাথে স্টলগুলোর সামনে ছিল বিভিন্ন বয়সী মানুষের কৌতূহল।
স্টলটির প্রতিনিধি বলেন, “আমরা এখানে মূলত দুটি টেকনোলজি নিয়ে এসেছি এআর এবং ভিআর। এআরে এখানে বসেই রিয়ালিস্টিক ভাবে বিভিন্ন বিল্ডিং এর ভিউ দেখা যাচ্ছে। ভিআরে শিশুরা অনেক বেশি মজা খুঁজে পায়। এটার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউয়ে সুইডেনের অনেক কিছু দেখছে যেখানে তাদের কাছে সব বাস্তব মনে হচ্ছে।”