কথায় কথায় তারা হ্যালোকে জানায় পরিবারের চাকা সচল রাখেতে কাজে নামতে হয়েছে তাদের।
মানিক হ্যালোকে জানায় তিন বছর ধরে তাকে এই কাজ করতে হচ্ছে। সে বলে, “আমি ক্লাস ওয়ান পর্যন্ত পড়ছি। এরপর টাকার অভাবে আর পড়তে পারি নাই।”
স্কুলে যাওয়াটা যে কতো আনন্দের সেটা ভালো করেই আঁচ করতে পারে রাজু। কোনো শিশুকে স্কুলে যেতে দেখলে নিজের ভাগ্যকে নিয়ে তার আক্ষেপ হয়। হ্যালোকে সে বলছিল, “আমি ব্যবসা করি পাঁচ বছর ধরে। ক্লাস ওয়ান পর্যন্ত পড়েছি। এরপর আর পড়তে পারি নাই। যারা পড়ে তাদের দেখলে পড়তে ইচ্ছে করে।”
হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে রোজ তিনশ থেকে চারশ টাকার মতো আয় হয় রাজুর।
আরিফুলের গল্পটাও প্রায় একই। তার এই ক্ষুদ্র ব্যবসার বয়স তিন বছর হলো। সে বলছিল, “আমি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার পাশাপাশি কাজ করি। প্রতিদিন পাঁচশ থেকে ছয় ছয়শ টাকার মতো আয় হয়।”