জানা যায়, সেবামূলক এই কাজে সহযোগিতা করতে স্টল বরাদ্দে কোনো টাকা নেয়নি মেলা কর্তৃপক্ষ। স্বেচ্ছাসেবীরাও মেলায় রক্ত সংগ্রহ করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
সন্ধানীর স্বেচ্ছাসেবী কামরুল ইসলাম হ্যালোকে বলেন, “সন্ধানী এই রক্ত নিয়ে যাচ্ছে এবং কোনো কোনো পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে দিচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে যদি আর্জেন্ট রক্ত প্রয়োজন না হয় তখন আমরা ৪০০ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে নিয়ে রক্তটা দেই।”
স্টলে স্বেচ্ছায় রক্তদান করা ইরফান হোসেন নামে একজনের সঙ্গেও কথা হয় হ্যালোর প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, “রক্ত দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা এবং অবশ্যই এটা একটা মানবিক কাজ।
“ভবিষ্যতে যাতে অন্য কারো এই রক্তের দ্বারা উপকার হয়, জরুরি অবস্থায় যাতে রক্তটা পায় তাই আমার পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।”
স্টলের স্বেচ্ছাসেবী এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাইয়েবা বিনতে রফিক মিম বলেন, “আমাদের যে লোহিত রক্তকণিকা সেটা চার মাস পরপর এমনিই ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে এটা এবার পুনরায় উৎপত্তি হয়। তাতে করে রক্ত দিলে কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। আমরা যদি এক ব্যাগ রক্ত আরেকজন অসুস্থ মানুষকে দেই তাহলে তাদের জীবনটাও নিরাপদ হয়।
“যেমন থ্যালাসামিয়ার রোগীদের প্রতি মাসেই রক্ত দিতে হয় আবার গর্ভবতী মায়েদেরও প্রয়োজন হয়।”