সম্প্রতি ঝিলপাড় বস্তিতে গিয়ে দেখা যায়, মায়ের কোলে বসে অন্যদের খেলা দেখছে ও।
রুপনগর ঝিলপাড় বস্তিতে মা ও বাবার সঙ্গে থাকে সাইদ। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন, বাবা দিনমজুর।
৩০ অক্টোবর মনিপুর স্কুলের রূপনগর শাখার বিপরীত দিকে ১১ নম্বর সড়কে শিয়ালবাড়ি বস্তির পাশে বেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
সেদিনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়ে বেঁচে আছে সাইদ।
তার মা আসমা বেগম হ্যালোকে জানান, অন্যদের বেলুন কেনা আর ওড়ানো দেখত ও। সেদিনের বিস্ফোরণের পর কিছু বুঝবার আগেই সে ছিটকে পড়ে। একটি হাত উড়ে যায়। তার অন্য অঙ্গ প্রতঙ্গগুলো ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বলেন, “সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় অসহনীয় ব্যথা যন্ত্রণা নিয়ে। চলবার শক্তি নেই তার। সঠিক চিকিৎসা সেবাও পাচ্ছে না সে। দেখবার কেউ নেই বলে আমিও কাজে যেতে পারি না।
“ছেলেটা আমার পঙ্গু হয়ে গেল। ঋণ করে বাচ্চার চিকিৎসা করতেছি। আর পারতেছি না।”