প্রতি শুক্রবার জেলা কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে তাইকোয়ান্দোর প্রশিক্ষণ নেয় তারা।
সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় প্রশিক্ষণার্থী ও এই প্রশিক্ষণের উদ্যোক্তাদের।
প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে সোনা বিজয়ী একজন বলে, একটি শুধুমাত্র আত্মরক্ষার কৌশলই নয়, এটি একটি খেলাও।
বলে, “আমি প্রথমে ন্যাশনাল কম্পিটিশনে ভালো ফলাফল না করতে পারলেও আমার চেষ্টা অব্যহত ছিল। পরবর্তীতে আমি চারটি স্বর্ণ পদক এবং পাঁচটি রৌপ্য পদক অর্জন করি।”
সিরাজগঞ্জ জেলা তায়কোয়ানড এসোসিয়েশনের প্রধান প্রশিক্ষক বাবুল হোসেন বলেন, “আমি ১৯৯৮ সালে তায়কোয়ান্দোতে যোগ দেই। ২০০৭ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা তায়কোয়ান্দো এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করি। বর্তমানে শুধু সিরাজগঞ্জ জেলা শহর নয় এভাবে জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আমরা তায়কোয়ান্দো ও মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।”
তিনি জানান, এই জেলা থেকে ৮৯টি স্বর্ণ, ৮৬টি রৌপ্য ও ৮৮টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে শিশু কিশোরেরা।
“জুনিয়ন এবং সিনিওর বিভাগে প্রায় প্রতি বছরই আমরা চ্যাম্পিয়ন, রানার আপ ট্রফি পেয়ে থাকি।”
২০০৭ সালে তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদুল ইসলাম রানা ও তায়কোয়ান্দো বাংলাদেশের কোরিয়ান কোচ লি জু সাং এটির প্রতিষ্ঠা করেন।
একটি বিশেষ আত্মরক্ষামুলক কৌশলের নাম তায়কোয়ান্দো। এই খেলাটি খালি হাত ও পায়ের সাহায্যে শত্রুকে কাবু করার একটি কৌশল। কোরিয়াতে জন্ম এই খেলাটি ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে।