সম্প্রতি হ্যালো ঘুরে দেখে স্কুলটি। ঘড়িতে সকাল ৯টা বাজতেই দলবেঁধে চরের ছেলেমেয়েরা স্কুলে চলে আসে। নিয়ম মেনে সমাবেশের পর শুরু হয় পাঠদান।
জানা যায়, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি দূরে থাক, গ্রামটিতে নেই কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই চরের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য একটি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে পাশের চরে, যেখানে যেতে তাদের পোহাতে হয় অকল্পনীয় দুর্ভোগ।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, “দূরের স্কুলে যাওয়া সমস্যা হওয়ার কারণে আগে ছেলে মেয়েরা ঘরে, মাঠে বিভিন্ন কাজ করত। এই স্কুল বাড়ির কাছে হওয়ায় তারা আবার পড়াশোনায় মনোযোগী হয়েছে।”
স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল ইসলাম বলেন, “দুর্গম এই চরে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা দূর করে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেছি।”
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, চরের ১২০জন ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করছে এই স্কুলে। চরে বিদ্যুৎব্যবস্থা না থাকলেও এই স্কুলে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকায় গরমের মধ্যে কষ্ট করতে হয় না শিশুদের। শিশুদের দেওয়া হয় স্কুল ড্রেস, খাতা, কলম, পেন্সিলসহ সব ধরনের শিক্ষা উপকরণ।