কখনও দু’শো আবার কখনও চারশো টাকা আয় করে থাকে তারা।
সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় তাদের।
সংসারে অভাবের কারণে এই কাজ করতে হচ্ছে বলে জানায় ওরা।
রাফি বলে, “আমার পড়ালেহার ইচ্ছা আছে। টেকার লাইগা পড়ালেহা করতে পারি নাই। আমার মা বাবারও খুবই অভাব। নিজে কাম কইরা দুই-একশ কখনো বা তিন থেকে চারশ টাহা কামাই হয়।
“এডি খাওনের ভেতর যায়গা। কোনো সময় মাল না পাইলে বইয়া বইয়া থাহি। তহন বন্ধুর কাছ থেকে টেহা নিয়া ভাত খাই।”
তুহিন বলে,“সকাল বেলা ঠিকমত ভাত খাইতে পারি না। কাম কইরা টেহা উডাইয়া ভাত খাই। রাত দশটার পর্যন্ত কাম করি।”
রাফি আর তুহিনের থাকার কোনো জায়গা নেই,তাই সারাদিন কাজ শেষে এই স্টেশনেই রাত কাটিয়ে দেয়। মাঝে মঝে পুলিশের লাঠির আঘাতও সহ্য করতে হয় তাদের।
তুহিন বলে, “রাইতে যখন ভাত খাইয়া শুয়ে পড়ি তখন পুলিশে মাইরা উঠায় দেয়।”
রাফি বলে, “আমার দেশের বাড়ি সিলেট। আমি এই জায়গায় আইছি পুরা দুই বছর হইছে। থাকনের জায়গা নাই তাই রাস্তায় রাস্তায় আবার কখনো স্টেশনে ঘুমাই।”