সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় তাদের।
হাসান নামের এক শিশু বলে, “আমরা ফুল বেচতেও চাই আবার পড়তেও চাই। দুপরের টাইম ১২টার পর আর ফুল বেচা হয় না ২টা পর্যন্ত। ঐ টাইমে আমরা পড়তে চাই।”
জানায়, শাহবাগ থেকে ফুল কিনে নিয়ে নিজেরাই মালা বানিয়ে বিক্রি করে আবার কখনো তৈরি মালাই কম দামে কিনে বিক্রি করে তারা।
তাদের কারো বয়সই ১২ এর বেশি নয়। দৈনিক একশ থেকে পাঁচশ টাকা আয় নিয়ে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সংসারের বোঝা।
কথা হয় টুনি নামের ছোট এক শিশুর সঙ্গে। রোজ শহীদ মিনারে ফুল বিক্রি করে ও।
আধো আধো উচ্চারণে সে বলে, “আমি রোজ শহীদ মিনারে ফুল বিক্রি করি। আয় হয় ১০০টাকা। এই টাকা নিয়া আমি আমার মারে দেই।”
রজনীগন্ধা, গোলাপ, সূর্যমূখী বিক্রি করে বেড়ানো এই শিশুদের অনেকেরই নেই মাথা গোজার ঠাঁই।
পড়তে আগ্রহী হাসান বলে, “আমি থ্রি পর্যন্ত পড়ছি আর পড়ি নাই। এহন তো আর পড়তে পারুম না।”