আনন্দ স্কুল বাংলাদেশের আট থেকে চৌদ্দ বছরের যেসব শিশুর বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়নি বা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে পারেনি অর্থাৎ নানা কারণে ঝরে পড়েছে, তাদের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত স্কুল।
স্কুলটির প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এখানে পড়াশোনা করছে খুকু মনি। ও এখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
সে হ্যালোকে বলে, “ আমার এখানে পড়তে ভালো লাগে।”
দোকানে কাজের পাশাপাশি এ স্কুলে পড়ে আল-আমীন। সে বলে, “এ স্কুল থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।”
তানজিলা বলে, “আমি আগে কিছু পারতাম না। এ স্কুলে হাতে কলমে ম্যাডামরা আমাদের শিখাইছে।”
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঝরে পড়া বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে এই স্কুলের জন্ম। এখানের শিশুরা বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শীতা লাভ করছে। তাদের জন্য বিভিন্ন উপবৃত্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
স্কুলের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে শিক্ষক সাবিনা খাতুন বলেন, “আমরা দুইটি শিফটে ক্লাস নিয়ে থাকি। আমরা দুই শিফটের মাঝামাঝি সময়ে হোম ভিজিট করি।
“শিক্ষার্থীদের মাঝেমাঝেই পরীক্ষা নিই। তারা কী শিখল সেটা পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে যাচাই করি।”
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এ স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম।