জানা যায়, প্রথমে পথশিশুদের বন্ধু হওয়াই এ স্কুলের লক্ষ্য। ছবি আঁকা, অক্ষর জ্ঞান দেওয়ার পাশাপাশি শিশুকে সৌজন্যতামূলক আচরণ শেখানো হয় এখানে।
সপ্তাহের একটি দিন পথশিশুরা কাজের ফাঁকে চলে আসে এ স্কুলে।
সম্প্রতি তাদের ধানমণ্ডি লেকের স্কুলটিতে গিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী শাকিল এই স্কুলের শিক্ষার্থী। ও বলে, “প্রতি মঙ্গলবার আমি এখানে আসি শিখতে। আমি বড় হয়ে পাইলট হতে চাই।”
ধানমণ্ডি লেকে ঘুরে ঘুরে ফুল বিক্রি করে জাহিদ। ফুল বিক্রির পাশাপাশি প্রতি মঙ্গলবার এ স্কুলে পড়তে আসে সে। জাহিদ হ্যালোকে বলে, “আমি অনেক বছর ধরেই ফুল বিক্রি করি। আমি এ স্কুল থেকে অনেক কিছু শিখতে পেয়েছি।”
বড় হয়ে পুলিশ হতে চায় এ স্কুলের শিক্ষার্থী ফাতেমা। ও বলে, “বড়দের সঙ্গে কীভাবে কথা বলে, বন্ধুদের সাথে কীভাবে ভাবে কথা বলতে হয় এখানে এসে শিখতে পেরেছি।”
২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে প্রথম যাত্রা করে মজার ইশকুল। বর্তমানে ঢাকার আটটি জায়গায় তাদের এ ‘ওপেন’ স্কুল পরিচালিত হয়।
এই স্কুল নিয়ে ভবিষ ৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে এ স্কুলের স্বেচ্ছাসেবক তাসফিয়া তামকিন রেজা বলেন, “এই স্কুল হচ্ছে আমাদের প্রথম ধাপ। এরপর আমরা তাদের স্থায়ী স্কুলে ভর্তি করাবো। এদের মধ্যে যাদের বাবা মা নেই তাদের জন্য শিশু স্বর্গের পরিকল্পনা আছে যেখানে একহাজার শিশু একসাথে থাকতে পারবে।”
প্রতি মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পড়ানো হয় এখানে।