পনের বছরের কম ছেলেদের এবং সব বয়সী মেয়েদের জন্য উন্মুক্ত এই মার্শাল আর্ট শিক্ষা।
সম্প্রতি কয়েক জন মার্শাল আর্ট শিক্ষার্থী শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
ছয়মাস ধরে মার্শাল আর্ট শিখছে রাদিয়া বিনতে ইসলাম। ও বলে, “আমার মার্শাল আর্ট ভালো লাগে।”
একবছর ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে আনিকা নাওয়ার আহসান। ও বলে, “আমি এখান থেকে নিজেকে, পরিবারকে কীভাবে রক্ষা করতে হবে তা শিখেছি।”
মার্শাল আর্ট শেখার ধাপগুলো বিভিন্ন রঙের বেল্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। প্রথম ধাপে সাদা বেল্ট দিয়ে শুরু করে। শেখার শেষ ধাপে দেওয়া হয় কালো বেল্ট।
খিলগাঁও থেকে আসে সাব্বিদ হোসাইন উমান। ইতিমধ্যেই পেয়েছে কালো বেল্ট। সে বলে, “আমি সাদা বেল্ট দিয়ে শুরু করেছিলাম। এরপর ইয়েলো বেল্ট, অরেঞ্জ বেল্টসহ বিভিন্ন ধাপ শেষ করে কালো বেল্ট পেয়েছি।”
শুধু আত্মরক্ষা শেখানোর জন্যই না, নগরের যান্ত্রিকজীবনে শিশুরা খেলার সুযোগ কম পাচ্ছে বলে সন্তানদের মার্শাল আর্ট শেখাচ্ছেন বলে জানালেন অভিভাবকরা।
আয়েশা খাতুনের বাবা কামরুজ্জামান হাওলাদার বলেন, “এখান থেকে মার্শাল আর্ট শিখে দেশের বাইরেও যেতে পারে।”
মার্শাল আর্ট ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণার্থী ইশফাক ইকবাল মুগ্ধ ও রাদিয়া বিনতে ইসলাম এর মা ডা. রোজিয়া খাতুন বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা চার দেয়ালের মধ্যেই বন্দি থাকছে। শারীরিক কোনো চর্চা নেই এবং স্কুলেও খেলাধুলা হয় না। এজন্য আমি ওদের এখানে দিয়েছি।”
বনশ্রী পূর্ব পাড়া থেকে মেয়ে জেবা বিশ্বাসকে নিয়ে আসেন অজয় বিশ্বাস। তিনি বলেন, “আমার ছেলেমেয়েরা চার বছর ধরেই এখানে শিখছে।”
এখানে ছয়জন প্রশিক্ষকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৫০ জনকে দেওয়া হয় মার্শাল আর্ট শিক্ষা।
প্রশিক্ষক সাকিবুল হাসান বলেন, “যারা নতুন তাদের জন্য আলাদা ইন্সট্রাকর আছেন। সকালে তিনটা শিফট এবং বিকালে একটা শিফটে আমরা শেখাই।”
মার্শাল আর্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আতিক মোর্শেদ হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, “দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ মার্শাল আর্ট শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান আছে আমাদের।”
সপ্তাহের দুইদিন তাদের এই শিক্ষাকার্যক্রম চলে।