সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় বাল্যবিয়ের শিকার দুই নারী ও অভিভাবকের।
এই বস্তিতেই থাকেন বাল্যবিয়ের শিকার নারী তাহমিনা এবং মনিরা।
জামালপুরের ইসলামপুর থেকে ছোট বেলায় মা বাবার সাথে ঢাকায় চলে আসেন মনিরা। আর্থিক অভাব অনটনে লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি তার। অল্প বয়সে পরিবারের চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি।
মনিরা বলেন, “অভাবের সংসারে বাবা মা পড়াইতে পারে নাই। চৌদ্দ বছর বয়সে বিয়া দিয়ে দিছে।”
বছর ঘুরতেই মা হন। এখন অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন মনিরা।
তিনি বলেন, “বাসায় বাসায় কাজ করি। মায়ের কাছে বাচ্চা রেখে যাই।”
মনিরার খালা আফরোজা বেগম বলেন, “আমাদের এ বস্তির অনেকেই টাকার অভাবে পড়াইতে পারে না। ছোট থাকতেই বিয়ে দিয়ে দেয়। কী করব, করার তো কিছু নাই।”
জামালপুরের মেলান্দ থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে মায়ের সাথে ঢাকায় চলে আসে তাহমিনা। এরপর টাকার অভাবে লেখপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তার। তিনি বলেন, “পড়তে পারি নাই টাকার অভাবে।”
তার অনিচ্ছায় তের বছর বয়সে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় সন্তানের মান হন তাহমিনা। তিনি বলেন, “খুব অল্প বয়সে আমাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তাহামিনার মা বলেন, “টাকা পয়সার জন্য মেয়েরে পড়াইতে পারি নাই। গ্রামের বাড়ি নিয়া বিয়া দিয়ে দিছে ওর ভাই বোন বাপ। শখ আছিলো মেয়েরে পড়ানোর।”