সম্প্রতি প্রেসক্লাবে তারা এই অভিযোগ করেন।
ভাতা বঞ্চিত এসব মুক্তিযোদ্ধারা হলেন উপজেলার কদিম দেওহাটা গ্রামের যোগেশ চন্দ্র সরকার, নতুন কহেলা গ্রামের
মো. দেলোয়ার হোসেন, আটিয়া মাহমুদপুর গ্রামের মো.নজরুল ইসলাম, জগত ভাররা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক, কলামজানির মৃত হাসান আলী।
তাদের দাবি, ১৯৭১ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তোড়া ১ ও ২ নং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নং সেক্টরের ৪৫ এবং ৭ নং কোম্পানির অধীনে বিভিন্ন সময়ে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন বীর এই মুক্তিযোদ্ধারা। যুদ্ধকালীন তাদের কোম্পানি কমান্ডার ও সহকারী কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন যথাক্রমে মঞ্জুর কাদের শাজাহান, মো.একাব্বর হোসেন, আজমত আলী ও আবুল হোসেন।
ভাতা দাবি করে দেলোয়ার হোসেন বলেন, “গণ্ডগোলের পর সংসার চালাতে পুলিশে চাকরি করি। চাকরির সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছিলাম যার কারণে কখন লাল মুক্তি বার্তা গেজেট হয়েছে তার কোন খোঁজ রাখতে পারিনি। তাই আর তালিকা ভুক্তও হতে পারিনি।
মো.নজরুল ইসলাম নামের আরেক জন বলেন, “কখন মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট হয়েছে তা জানিই না।”
একই কথা বললেন মৃত রাজ্জাকের স্ত্রী সাজেদা বেগম ও মৃত হাসান আলীর ছেলে সালাম মিয়ার।
তারা আরো জানান, কল্যাণ ট্রাস্ট ও ইবি (ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট) নম্বর থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে নাম না আসায় সম্মানী ভাতাসহ সকল প্রকার সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গত তিন বছর ধরে ভাতার জন্য তারা আবেদন করলেও এখনো তাদের সম্মানী ভাতা মেলেনি।
সাবেক কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্ম মহাসচিব
আসাদুজ্জামান আরজু হ্যালোকে বলেন, “ভারতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরই কেবল কল্যাণ ট্রাস্ট এবং ইবি নম্বর থাকে
আর তারা ভাতা বঞ্চিত এটা দুঃখজনক।”
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা ভাতা প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাহ আলম মোবাইল ফোনে হ্যালোকে বলেন, “অনলাইনে নাম না আসায় এই পাঁচ জনের সম্মানী ভাতা আমরা দিতে পারছি না। মুক্তিযোদ্ধারা কল্যাণ ট্রাস্ট অফিসে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।”