খেলাধুলা, চলাচল ও প্রতিদিনের সমাবেশ ক্লাসও হচ্ছে না এই জলাবদ্ধতায়।
জানা যায়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও আর তাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে ৯৭৫ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে সামনের মহাসড়কে উন্নয়নের কাজ চলছে। এতে বিদ্যালয়ের মাঠ মহাসড়ক থেকে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় ফুট নিচু হয়ে গেছে।
বর্ষা মৌসুম জুড়েই এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি এলেই চারদিকের পানি মাঠে নেমে আসে এতে জুতা হাতে নিয়ে কাপড় ভিজিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু রায়হান হ্যালোকে বলে, “মাঠে পানির জন্য পিটি করতে পারি না, যেখানে হাঁটাই কষ্ট সেখানে আবার খেলাধুলা।”
একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলে, “অল্প বৃষ্টিতে মাঠে হাটু পানি জমে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম বলেন, “গত তিন বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা এই ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
“গত বছর শিক্ষামন্ত্রী, মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে চলমান সমস্যার কথা জানিয়েছি। এখনো কোনো সমাধান পাইনি।”
তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “বিদ্যালয় মাঠের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে এম পি সাহেবের কাছে গেয়েছিলাম। চার লেনের কাজের জন্য আবার ভূমি অধিগ্রহণ হবে বলে তিনি বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে একটু অপেক্ষা করতে বলেছেন।”