এখানে শিশু শ্রেণিতে শিশুদের পাশাপাশি ক্লাস করছেন বড়রাও। ছোটবেলায় পড়ালেখা করতে না পারায় এখন প্রয়োজনের তাগিদে শিক্ষাগ্রহণ করছেন তারা।
ছেলে মাস্টার্স এবং মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে হোটেল ব্যবসায়ী মমতাজ হোসেনের (৪২)। এই বয়সে এসে তার মনে হয়েছে পড়াশোনা জানাটা খুব দরকার। তাই পড়ছেন শিশুদের সাথে শিশু শ্রেণিতে।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “ব্যবসার জন্য পড়ালেখাটা খুব জরুরি। এটা আরো আগেই দরকার ছিল। ভুল করছি আমি।”
ঢাকার টিকাটুলির রাজধানী মার্কেটে চাকরি করেন তানিয়া আক্তার (৩৬)। প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশের বাইরে যাওয়ার। পড়ালেখাটা খুব দরকার এই সময়ে। তাই ভর্তি হয়েছেন শিশু শ্রেণিতে।
তিনি বলেন, “এখন নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছি। পড়তে খুব ভালো লাগে এখন।”
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর চাকরি করেন জোসনা বেগম (৪৩)। তিনি বলেন, “আমি পেপার পড়তে এবং টিভির খবর পড়তে পারার জন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছি।”
ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করতে দেখে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে গৃহিণী শারমিন আক্তারের (৩৭)।
তিনি বলেন, “ পড়াশোনার মধ্যে কী আছে সেটা দেখতে চাই আমি। এজন্য আমি আগ্রহ করছি, লেখাপড়া করে হয়তো আমি অনেক কিছু জানতে পারবো।”
শিক্ষকরাও আনন্দিত বড়দের এমন শিক্ষার প্রতি আগ্রহ দেখে।
লিটার্যাসি স্কুলের শিক্ষক মুং গ্লোরাং ত্রিপুরা বলেন, "বড়দের কোনো কিছু বুঝতে কম সময় লাগে। অন্যদিকে ছোটদের বেশি সময় লাগে।”
নটরডেম লিটার্যাসি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জেবিআর গমেজ বলেন, “বয়স্ক শিক্ষার্থীরাও পড়ছেন এটা আমাদের জন্য বড় ধরনের অর্জন।”
কলেজ কর্তৃপক্ষ যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই স্কুলটা প্রতিষ্ঠা করেছে সেটা পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।