সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় ওর।
জানায়, প্রায়ই তার বস্তির পাশের জল্লাদখানা বদ্যভূমিতে ঘুরতে যায়। সেখানে কর্মরত তত্ত্বাবধায়ক প্রমিলা বিশ্বাসের কাছে বইপত্র দেখতে চায়, লেখাপড়া শিখতে চায়।
নিপুণ বলে, “আমার পড়াশোনা করতে ভালো লাগে, জল্লাদখানার ম্যাডামের কাছে আইসা আমি পড়ি। আমারে এ,বি,সি,ডি শিখাইছে।”
প্রমিলা বিশ্বাস বলেন, “বোঝা যায় যে ওর মধ্যে লেখাপড়ার আগ্রহটা আছে। তাই আমি ওকে টুকটাক বর্ণগুলো শেখাই। ওরা তো আমাদের ভবিষ্যৎ, ওদের শেখানোটা আমাদের দায়িত্ব।”
খালার কাছে বড় হচ্ছে নিপূণ। তাকে স্কুলে ভর্তি করার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে নিপুণের।”
তার অভিমত স্কুলে তেমন যত্ন নিয়ে পড়ায় না এবং তারাও পড়াশোনার ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারছে না বলেই নিপূণসহ অনেকেই পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়ছে।
সে আরো বলে, “আমরা গরীব, আমরা পেটের ভাত যোগাড় করব নাকি সারাদিন ছেলমেয়েদের পিছে দৌড়াব।”